যেহেতু পাথর শক্ত এবং মাড়ি খুবই নরম, সেহেতু কথা বলার সময় অথবা খাওয়ার সময় মাড়ির সঙ্গে পাথরের ঘর্ষণ হয়। এ কারণেই মাড়িতে ঘা হয়। এক পর্যায়ে এ ঘায়ের স্হান থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। এ সময় রোগী বা রোগিণী ঠান্ডা-গরম, মিষ্টি ও টক জাতীয় খাবার মুখে দিতে পারে না। কারণ এ সব জিনিস খেতে গেলেই প্রচন্ড শির শির অনুভুত হয় এবং মুখে খুব দুর্গন্ধ হয়। এ রোগকেই বলা হয় জিনজিভাইটিস। জিনজিভাইটিস রোগ হওয়া মাত্রই একজন অভিজ্ঞ দন্ত বিশেষজ্ঞ দ্বারা স্কেলিং অ্যান্ড পলিশিং করিয়ে নিলে এ রোগ থেকে পুরোপুরি আরোগ্য লাভ করা যায়। প্রশ্ন করা যেতে পারে, স্কেলিং কাকে বলে? এর উত্তর হচ্ছে দাঁতের গোড়ায় যে পাথর জমে, তা বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে ফেলে দেয়াকেই স্কেলিং বলে। মনে রাখবেন দাঁতের মাড়িতে জমে থাকা পাথরগুলো ফেলে দিয়ে দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে এ রোগ সম্পুর্ণ ভালো হয়ে যায়। এমনকি মাড়ি থেকে রক্তপড়া, দাঁত শির শির করা এবং মুখের দুর্গন্ধ সবই ঠিক হয়ে যায়। আর যদি যথাসময়ে স্কেলিং অ্যান্ড পলিশিং করানো না হয় এবং এ অবস্হা দীর্ঘদিন চলতে থাকে, তাহলে দাঁতের পেরিওডেন্টাল মেমব্রেন নষ্ট হয়ে দুর্বল হয়ে ভালো দাঁতটি ধীরে ধীরে নড়তে শুরু করে। তখন মাড়িতে খুব ব্যথা হয়। ব্যথার কারণে রোগী ঠিকমত খাওয়া-দাওয়া করতে পারবে না। এ রোগের নাম পেরিওডন্টাইটিস।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন